১৬ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ , ২রা মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় বিভিন্ন ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৬টি ইটভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গত ২১ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) ফরিদা ইয়াসমিন।
তিনি জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর আলোকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ছয়টি অবৈধ ইটভাটাকে বর্ণিত আইনের ধারা ৫ ও ৮ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন, পরিচালনা ও জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ব্যতিত মাটি সংগ্রহের অপরাধে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ত্রিশাল উপজেলার এলেংজানি বাজারের মেসার্স একতা ব্রিকস-কে ২ লক্ষ টাকা, মেসার্স আলম ব্রিকস-কে ১ লক্ষ টাকা, বড়মা এলংজানি’র মেসার্স সরকার ব্রিকস-কে ১ লক্ষ টাকা, মেসার্স হক ব্রিকস-কে ১ লক্ষ টাকা, কাঁঠালের মেসার্স সায়না ব্রিকস-কে ২ লক্ষ টাকা, মেসার্স নীরব ব্রিকস-কে ২ লক্ষ জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লোভানা জামিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা ভ্যাকসিন কিনতে ৭৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার স্বাস্থ্য বিভাগের সচিবের কাছে অর্থ বরাদ্দের পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য জানান অর্থ বিভাগের (বাজেট অনুবিভাগ-১) যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। অর্থ বিভাগের চিঠিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ হতে কোভিড-১৯ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন ক্রয়ের লক্ষ্যে পরিবহন খরচসহ কোল্ড চেইনে পৌঁছানো পর্যন্ত তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য ৭৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮২ হাজার টাকার বিভাজন অনুমোদনসহ কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে সম্মতি দেওয়া হয়।
খাতভিত্তিক বরাদ্দ
প্রথম ধাপে তিন কোটি ডোজ টিকা জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে অর্ধেক টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। বিভিন্ন খাতে এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রস্তাবিত করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ (ওষুধ ও প্রতিষেধক) বাবদ এক হাজার ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৬৪৩ কোটি ১১ লাখ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আপ্যায়ন ব্যয়ের জন্য প্রস্তাবিত ৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। প্রস্তাবিত হায়ারিং চার্জ ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার পুরোটাই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য প্রস্তাবিত ১৪ কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের জন্য প্রস্তাবিত ১ কোটি ২ লাখ টাকার পরিপ্রেক্ষিতেও কোনও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ভ্রমণ ব্যয়ের জন্য প্রস্তাবিত ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার পরিপ্রেক্ষিতেও কোনও বরাদ্দ হয়নি। স্বাস্থ্য বিধান সামগ্রীর জন্য প্রস্তাবিত তিন কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। পণ্যের ভাড়া ও পরিবহন ব্যয়ের প্রস্তাবিত ৯৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৮ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ ব্যয়ের জন্য প্রস্তাবিত ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার মধ্যে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বাবদ প্রস্তাবিত ৫৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকার বিপরীতে ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, মুদ্রণ ও বাঁধাইয়ের জন্য প্রস্তাবিত ৬ কোটি ২৬ লাখ এক হাজার টাকার পুরোটাই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরিপের জন্য প্রস্তাবিত ৯৫ লাখ টাকার বিপরীতে কোনও টাকাই বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
সম্মানি বাবদ প্রস্তাবিত ১০ কোটি চার লাখ ৭৬ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি টাকা, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি বাবদ প্রস্তাবিত ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার পুরোটাই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ডাটাবেজ বাবদ প্রস্তাবিত ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকার পুরোটাই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ প্রস্তাবিত ২২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বিপরীতে কোনও টাকাই বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় ভ্যাকসিন কিনতে ইতোমধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বা টিকা কিনে জনগণের মাঝে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি এ টিকার ভারতীয় উৎপাদক সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ৫ নভেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে সিরাম ইনস্টিটিউট।
হোসাইন আহাম্মেদ সুলভ; মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কের মুক্তাগাছায় একটি পুরনো কালভার্ট ভেঙে সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার সকাল ৬টার দিকে ময়মনসিংহগামী একটি পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপারের সময় কালভার্টটি ধসে পড়লে সড়কটিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে অন্তত চারদিন সময় লাগবে। এই সড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলে চলাচলকারী যানবাহনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটিতে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের নিমুরিয়া (ডোবারপাড়) এলাকায় কইল্লা খালের উপর প্রায় দেড়শ’ বছর আগে কালভার্টটি নির্মিত হয়। সড়কটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে কালভাটের দুই পাশে বাঁশ বেঁধে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।
স্থানীয় নিমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ব্রিটিশ আমলের কালভার্ট ছিল এটি। দুর্বল হয়ে পড়া কালভার্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলে। কালভার্টিটি ভেঙে পড়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
সড়কে চলাচলকারী স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী তারিকুল ইসলাম বলেন, কালভার্ট ভেঙে সড়কটি দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অন্তত ১৫ কিলোমিটার ঘুরে অন্য সড়ক দিয়ে মুক্তাগাছা শহরে যেতে হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ভারী যান পারাপারের সময় ধসে পড়ে এটি। বেইলি ব্রিজ স্থাপন করে সাময়িকভাবে সড়ক চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ সড়কটিতে বেইলি সেতু স্থাপন শেষে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
জহির রায়হান :
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে অটোরিক্সা চোরচক্রের ০৩ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামানের নির্দেশে ডিবি পুলিশ মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস, চোর সিন্ডিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসাবে অটো চোরের সিন্ডিকেট চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মোঃ বাবুল (৩৫), মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩২) ও মোঃ আরিফ (১৮)।
জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর বিকালে পাগলা থানাধীন তেতুঁলিয়া টু কান্দিপাড়া গ্রামী মাইজবাড়ী এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজতে হতে ০৪টি চোরাই অটো উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ ময়মনসিংহের জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা হতে গরীব অসহায়দের একমাত্র আয়ের উৎস অটোরিক্সা চুরি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করে ০৫ (পাঁচ) দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হুয়াওয়ে স্মার্ট ফটোভোলটাইক (পিভি) সমাধান ইনস্টল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সম্প্রতি জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়েছে এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে দেশের সর্বমোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ উৎপাদনে সরকারের ল্য অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে ৭৩ মেগা ওয়াট পিভি সমতার এ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট।
একটি ফটোভোলটাইক সিস্টেম, পিভি সিস্টেম বা সৌর শক্তি ব্যবস্থা, এমন একটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যা ব্যবহারযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করে। সৌর প্যানেল, সোলার ইনভার্টার, মাউন্টিং, ক্যাবলিং এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ সম্বলিত এই ফটোভোলটাইক সিস্টেম সব কিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ওয়ার্কিং সিস্টেম নিশ্চিত করে।
দণি এশিয়াতে আদ্র ও উষ্ণ জলবায়ু দেশ বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫শ’ ঘণ্টার বেশি সূর্যালোক থাকে। আর এটা বিবেচনায় রেখে, এ প্রকল্পের সর্বোচ্চ সমতায় আইপি৬৬ উচ্চস্তরের সুরা এবং অ্যান্টি-পিআইডি প্রযুক্তিসহ হুয়াওয়ে এসইউএন২০০০-১৮৫কেটিএল স্মার্ট পিভি স্ট্রিং ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতীরে অবস্থিত। ১৭৩কে সোলার প্যানেল এবং ৩৩২ ইনভার্টারের মাধ্যমে এ প্রকল্প জাতীয় গ্রিডে বিশেষ অবদান রাখবে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়াং গুয়োবিং বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ডিজিটালকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এেেত্র বাংলাদেশের বাজার আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭৩ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমাদের উদ্ভাবন ও দতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের জ্বালানিখাতের ডিজিটালকরণ ও রূপান্তরে অবদান রাখতে চাই।’
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিখাতের দ্রুত উন্নতি সাধন হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের ৩১৬৮ মেগাওয়াট ইনস্টলেশন সমতার ল্য রয়েছে। এ মেগা প্রকল্প সে ল্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদপে ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তিতে ৩০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসহ হুয়াওয়ে উদ্ভাবন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তি, বাসা ও সংস্থার মতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জাকারিয়া সৌরভ, ধোবাউড়া :
ধোবাউড়া প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) সিজন-১ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুওে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ধোবাউড়া লায়ন্স এলিভেন ৩৮ রানের ব্যবধানে ফ্রেন্ডস্ পাওয়ার এলিভেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের খেতাব অর্জন করে। খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণী ও ডিপিএল সিজন-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ডিপিএল কো-চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম ইকবালের সঞ্চালনায় ও চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সোহাগের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ ১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান, ধোবাউড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, ডিপিএল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় খেলোয়ারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাংসদ জুয়েল আরেং ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম।
স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহে মাদক বিরোধী আরো একটি সফল অভিযান। অভিযানে ২’শত বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃতরা হলো, দিনাজপুরের সাফিউল আলম ও হাফিজুর রহমান রিপন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্রিশাল থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা হয়। ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, মাদক বিরোধী নিয়মিত অভিযান চলাকালে শনিবার বিকালে গোপন সুত্রে খবর পাওয়া যায়, আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ীচক্রের একটি দল দিনাজপুর থেকে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল (মাদক) সংগ্রহ করে বাসযোগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাসষ্ট্যান্ডে নামে। পরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় নগরীতে এসে ফরিয়া মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দিতে গাড়ীর জন্য অপো করছিল।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে এসআই আলাউদ্দিন বাদলসহ অন্যান্যরা অভিযান চালিয়ে ২ শত বোতল ফেন্সিডিলসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার সাফিউল আলম ও একই জেলার ফুলবাড়ি থানার হাফিজুর রহমান রিপন। পুলিশ জানায়, গত কয়েকমাসের মধ্যে সফল অভিযানের মধ্যে এই অভিযান অন্যতম। তাদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এসআই আলাউদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডিসিএসও প্রসেসের ঘোষণা পত্র ২০২০ প্রকাশ
উন্নয়ন ও মানবিক খাতে বৈদেশিক সহায়তায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত
এবং বিলাসিতা পরিহারের আহ্বান সুশীল সমাজের
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং মানবিক খাতে আসা সকল বৈদেশিক সহায়তায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং এসব সহায়তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার স্বার্থে সকল ধরনের বিলাসি ব্যয় পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে দেশ ব্যাপী প্রায় ৭০০ এনজিও এবং সুশীল সমাজ সংগঠনের ফোরাম বিডিসিএসও প্রসেস। আজ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিডিসিএসও গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে গৃহীত এই ঘোষণাপত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে এই দাবি তুলে ধরে। এই ঘোষণাপত্রে মোট ২২টি দাবি রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় এনজিও/সিএসও নেতৃবৃন্দ শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব গুলো স্থানীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে হস্তান্তর করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহকে অনুরোধ জানান। বিডিসিএসও প্রসেসে ওয়েব সাইটে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই প্রকাশিত ঘোষণা পত্রটি পাওয়া যাবে বলে সংবাদ সম্মেলন আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিডিসিএসও প্রসেসের জাতীয় সমন্বয়কারী এবং কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তৃতা রাখেন মোস্তফা কামাল আকন্দ। সংবাদ সম্মেলনে পাবনা থেকে পারভিন আক্তার, ময়মনসিংহ থেকে খন্দকার ফারুক আহমদ, রংপুর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, চট্টগ্রাম থেকে মো. আরিফুর রহমান, বরিশাল থেকে শুভংকর চক্রবর্তী, রহিমা সুলতানা কাজল এবং আনোয়ার জাহিদ, খুলনা থেকে আসাদুজ্জামান শেখ, কুড়িগ্রাম থেকে সায়েদা ইয়াসমিন, ঢাকা থেকে মাসুদা ফারুক রতœা, সিলেট থেকে তোফাজ্জল সোহেল, রাঙ্গামাটি থেকে ললিত চাকমা এবং লক্ষ্মীপুর থেকে সাবরিনা আক্তার বিডিসিএসও’র দাবিগুলো তুলে ধরেন।
আকবর হোসেন বলেন, ৬,৮ এবং ১০ অক্টোবর বিডিসিএসও’র ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ অংশ নেন এবং এতে মোট অংশগ্রহণকারী ছিলেন প্রায় ৭০০ জন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ। আন্তর্জাতিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ গ্রহণ করেন, যেমন আইসিভিএ থেকে মিঃ ইগনাসিও প্যাকার, ডাব্লু এইচএইচএএফ থেকে ড. হ্যানি অল বান্না এবং সোশ্যাল ওয়াচ থেকে মিঃ রবার্তো বিসিও। বাংলাদেশ থেকে শাহিন আনাম এবং শিরীন হক ছাড়াও এডাব’র মি. জসিম উদ্দিন, এফএনবি’র মি. রফিকুল ইসলাম, সিডিএফ’র মুর্শেদ সরকার এবং সুপ্র’র আব্দুল আউয়াল এই সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত প্রমুখ।
জহির রায়হান, ময়মনসিংহ :
“ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান” ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণা ও ২০১৮ সালের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা এবং ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ইং তারিখে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লিখিত প্রতিশ্রুতি স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১১, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১২ এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের-১৩তম গ্রেড প্রদান করে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহে দ্বিতীয় দিনেও কর্মবিরতি পালন করে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ও দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখা।
২৮ নভেম্বর (শনিবার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন। এসময় নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণ করতে হবে। তাঁদের দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা আরো বলেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য সহকারীদের এই কর্মবিরতির কারণে আগামী ৫ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনসহ দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকবে বলে তারা জানান।
এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আহ্বায়ক মো: নাজমুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসিম, মাইন উদ্দিন, নাজমা বেগম, সদস্য সচিব মো: আশরাফুল আলম, সদস্য নুরুন্নাহার, হাবিজ উদ্দিন, নাজমা খাতুন, মনোয়ারা বেগম, সবিতা পন্ডিত, আফজাল হোসেন, কাজল কুমার পাল, শফিউল আজম, মোশারফ হুসেন, কামরুজ্জামান, নাসির উদ্দিন, মো: রুবেল মিয়া, আবু জাফর, আবু হানিফ প্রমুখ।