১৬ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ , ২রা মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
স্পোর্টস ডেস্ক :
দেশ থেকে চার দফায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে যাওয়ার পরও বড় বিপাকে পড়ল পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর প্রথম পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন দলের ৬ জন সদস্য। ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৬ জনের ৪ জন নতুন আক্রান্ত। বাকি ২ জনের আগে থেকেই ছিল। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য নিশ্চিত করা হয়নি, এই ৬ জনের কজন ক্রিকেটার, কজন ম্যানেজমেন্টের অংশ বা তারা কারা। আক্রান্তদের ক্রাইস্টচার্চে আলাদা আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হবে। দলের বাকিরা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন আলাদা। নিয়ম অনুযায়ী, নিউ জিল্যান্ডে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে পাকিস্তান দলকে। তবে পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া ক্রিকেটারদের ঘরবন্দি থাকতে হবে চার দিন। এরপর কোয়ারেন্টিনে থেকেই অনুশীলন করতে পারবেন তারা। ৬ জন পজিটিভ হওয়ার পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভেঙেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে পাকিস্তান দল। নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, আইসোলেশনের প্রথম দিনেই কয়েকজনের বিধি ভাঙার ব্যাপারটি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। এটা নিয়ে পাকিস্তান দলকে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কিউই বোর্ডের পক্ষ থেকে সফরকারীদের কোয়ারেন্টিনের বিধি আবারও ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান দল। ১৮ ডিসেম্বর শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ, ২৬ ডিসেম্বর থেকে টেস্ট সিরিজ। সফর শুরুর আগেই পাকিস্তান হারিয়েছে ফখর জামানকে। দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও পরে উপসর্গ দেখা দেওয়ায় এই ওপেনারকে সফরে নেওয়া হয়নি।
স্পোর্টস ডেস্ক :
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার সম্মানে ফিফার প্রতি ১০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠানোর (স্থায়ীভাবে তুলে রাখা) আহ্বান জানিয়েছেন লিগ ওয়ানের দল অলিম্পিক মার্শেইয়ের কোচ আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াস। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে বুধবার মারা যান ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন মারাদোনা। আর্জেন্টাইনদের কাছে যিনি পিরিচিত ‘এল দিয়োস’ হিসেবে, যার অর্থ ‘ইশ্বর।’ আবার তার বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সির জন্য তাকে ডাকা হয় ‘এল দিয়েস’ নামেও। মারাদোনার প্রতি সম্মানে ২০০০ সালের পর থেকে ১০ নম্বর জার্সি ব্যবহার করেনি তার সাবেক ক্লাব নাপোলি। মাঝারি মানের দল নিয়েও যে ক্লাবকে তিনি দুইবার এনে দিয়েছিলেন সেরি আ শিরোপা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোর্তোর বিপক্ষে বুধবার ২-০ গোলে হারের পর পর্তুগিজ কোচ বোয়াস বললেন, ফিফারও উচিত হবে ১০ নম্বর জার্সি স্থায়ীভাবে তুলে রাখা। “মারাদোনার মৃত্যুর খবর মেনে নেওয়া খুব কঠিন। আমি ফিফাকে অনুরোধ করব ১০ নম্বর জার্সি সব প্রতিযোগিতা থেকে তুলে রাখতে।” “এটাই হতে পারে তার প্রতি সম্মান জানানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। তার মৃত্যু বিশ্ব ফুটবলের জন্য এক অপূরণীয় শূন্যতা।” আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের দলের ১০ জার্সি তুলে রাখার অনুমতি চেয়েছিল ফিফার কাছে; তবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
স্পোর্টস ডেস্ক :
মাশরাফি বিন মুর্তজা নানা সময়ে অনেকবারই বলেছেন, তার কাছে দিয়োগো মারাদোনাই ফুটবলের শেষ কথা। তারকা বলতেও কেবল একজনকেই বোঝেন তিনি। মারাদোনার বিদায়ের খবর জেনেও বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক আবার বললেন সেই কথা, ‘তার মতো কেউ নেই।’ মারাদোনাকে সত্যিকারের ‘আইকন’ বলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। মারাদোনার বিদায় গোটা ফুটবল বিশ্বের মতো নাড়া দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও। প্রিয়জন হারানোর ব্যথায় যেন কাতর ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগ-ভালোবাসায় ভরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাশরাফি-সাকিবরা। মাশরাফির প্রতিক্রিয়ায় ফুটে উঠেছে হৃদয় নিংড়ানো অনুভূতির প্রকাশ। “ তোমার থেকে বড় সুপারস্টার আমার চোখে আর কেউ ছিল না, আর আসবেও না। ব্যক্তি জীবনে তুমি আমার একমাত্র সুপারস্টার ছিলে, যাকে আমি একবার হলেও সামনে থেকে দেখতে চেয়েছিলাম। তোমার বাঁ পায়ের আঁকা নিখুঁত গোলের ছবিগুলো মনের ক্যানভাসে থেকে যাবে আজীবন। ভালো থেকো ওপারে জাদুকরৃ দা ড্রিবলিং মাস্টার, দিয়াগো আরমান্দো মারাদোনা।”
সাকিবের মতে, মারাদোনার মতো ফুটবলারদের কারণেই ফুটবল খেলাটি এত আনন্দময়। “ এমন কিছু খেলোয়াড় থাকেন, যারা সব প্রজন্মের আইকন, কিছু আছেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যাদের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে এবং খেলাটির পরিচয় হয়ে ওঠেন। দিয়োগো আরমান্দো মারাদোনা তেমনই একজন, যিনি ফুটবল খেলাটির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছেন।” “ মাঠের ভেতর তিনি ছিলেন বিখ্যাত, মাঠের বাইরে উল্টো। সবকিছুই তিনি নিজের মতো করে করেছেন, ভুল হোক বা ঠিক! তার অবিশ্বাস্য ফুটবল প্রতিভা, প্রখরতা ও ফুটবলের প্রতি ভালোবাসার কথা না বললেই নয়। তার মতো কিংবদন্তিদের জন্যই ফুটবল এগিয়ে যাবে এবং আমাদের মোহিত করে যাবে। ” পেসার রুবেল হোসেন লিখেছেন, “ চিরবিদায় ফুটবলের জাদুকর, আর্জেন্টাইন ফুটবলের রাজপুত্র।” শাহরিয়ার নাফিস তুলে ধরেছেন মাঠের ভেতরে-বাইরের মারাদোনাকে। “ মাঠের বাইরে তিনি আদর্শ ছিলেন না। তবে মাঠের ভিতরে কেউ তার সমান ছিল না। আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমাকে ফুটবল ভালোবাসানোর জন্য। আপনি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন…।” এছাড়াও তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমানরা সবাই মারাদোনার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “শান্তিতে ঘুমাও, কিংবদন্তি।”
স্পোর্টস ডেস্ক :
শক্তি-সামর্থ্যে বিস্তর এগিয়ে থেকে টুর্নামেন্টের ফেভারিট দল খুলনা। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে এখনও সেটির প্রতিফলন নেই। প্রথম ম্যাচে হারের দুয়ার থেকে জিতেছিল আরিফুল হকের শেষ ওভারের বীরত্বে। এবার তারা হেরেই গেল নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহীর কাছে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বৃহস্পতিবার জেমকন খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। আসরের প্রথম ম্যাচে শক্তিতে তুলনামূলক এগিয়ে থাকা বেক্সিমকো ঢাকাকে হারিয়েছিল রাজশাহী। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটিং বিপর্যয়ে খুলনাকে আবারও উদ্ধার করেন আরিফুল হক। ২০ ওভারে খুলনা করতে পারে ১৪৬ রান। রাজশাহীর মোটেও বেগ পেতে হয়নি সেই রান তাড়ায়। জিতে যায় তারা ১৬ বল বাকি থাকতে। ৩৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা অধিনায়ক শান্ত। পরে রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ রাব্বিও রাখেন অবদান। রান তাড়ায় শান্তর ব্যাট অশান্ত হয়ে ওঠে দ্বিতীয় ওভার থেকেই। শফিউল ইসলামকে পুল করে বাউন্ডারির পর দুর্দান্ত এক ফ্লিকে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে আল আমিনকে টানা দুই বলে মারেন চার-ছক্কা। আল আমিনের ওই ওভারেই আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন। তবে দল চাপে পড়েনি। শান্তর ব্যাটে রান আসতেই থাকে, তিনে নেমে রনি তালুকদারও স্বস্তি দেননি খুলনার বোলারদের। সাকিবের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন দুজনই, মাহমুদউল্লাহকে ছক্কায় ওড়ান রনি। অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে রিশাদ হোসেনকে উইকেট দিয়ে ফেরেন রনি (২০ বলে ২৬)। এই লেগ স্পিনারকে ছক্কায় উড়িয়েই শান্ত ফিফটি স্পর্শ করেন ৩২ বলে। পরের বলেই মারেন আরেকটি বাউন্ডারি। রিশাদই শেষ পর্যন্ত দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে দেন শান্তকে। খুলনার ম্যাচে ফেরা হয়নি তবু। ফজলে মাহমুদ রাব্বি উইকেটে যাওয়ার পরপরই রিশাদকে দুটি ছক্কায় উড়িয়ে সরিয়ে দেন চাপের শঙ্কা। দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ বলে ২৪ করে রাব্বি বিদায় নেন। দল তখন জয়ের কাছে। মোহাম্মদ আশরাফুলের ২২ বলে অপরাজিত ২৫ আর নুরুল হাসান সোহানের ছক্কায় (৭ বলে ১১*) রাজশাহীর জয় ধরা দেয় অনায়াসেই। শেষের মতো ম্যাচের শুরুতেও ছিল রাজশাহীর দাপট। টস হেরে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই তারা ফেরায় খুলনার অভিজ্ঞ ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মেহেদি হাসানের অফ স্পিনে জোরালো আবেদন থেকে বেঁচে যাওয়ার পরের বলেই এলোমেলো শটে তিনি ক্যাচ তুলে দেন শর্ট ফাইন লেগে। এই নিয়ে টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হলেন ইমরুল। সাকিব আল হাসান ভালো শুরুটাকে কাজে লাগাতে পারেননি আবার। মুকিদুল ইসলামের তিন বলের মধ্যে দুটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি কাট করে। এরপরই পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন স্কয়ার লেগে (৯ বলে ১২)। আগের ম্যাচেও পুল করে ঠিক একই জায়গায় ক্যাচ দিয়েছিলেন সাকিব। এনামুল হকের ব্যাটিংয়ে ছিল দুইরকম চিত্র। টাইমিং করতে ধুঁকেছেন বেশির ভাগ সময়। এর ফাঁকে খেলেছেন দারুণ কিছু শট। মিড উইকেট থেকে মেহেদির অসাধারণ সরাসরি থ্রো তাকে থামায় ২৬ রানে (২৪ বলে)। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ফেরেন আরাফাত সানিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। মুকিদলের বলে আলগা শটে বিদায় নেন অভিজ্ঞ জহরুল ইসলামও। ১০ ওভারের আগেই তখন খুলনার নেই ৫ উইকেট, রান মোটে ৫১। ধুঁকতে থাকা ইনিংসে দম দেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। বরাবরই ইতিবাচক মানসিকতার এই তরুণ ব্যাটসম্যান শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলে চাপ খানিকটা ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষকে। লেংথ আগেই পড়ার ক্ষমতা ও হাতের জোর মিলিয়ে চোখধাঁধানো কয়েকটি শট খেলেন তরুণ এই বাঁহাতি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় তার ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস শেষ হয় ইবাদতের বলে। আরিফুলের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি ৩৯ বলে। আরিফুল ঠিক আগের ম্যাচের মতোই শুরুতে সময় নিয়েছেন। টাইমিং পেতে লড়েছেন। একপর্যায়ে রান ছিল ১৬ বলে ৯। পরে মেহেদিকে স্লগ সুইপে ছক্কায় তার ইনিংসের গতি বদলানোর শুরু। পরে মুকিদুলেরে এক ওভারে মারেন দুটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩১বলে ৪১ রান করে। শেষ দিকে শহিদুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১৭ রান। তাতে দেড়শর কাছে যেতে পারে খুলনা। কিন্তু রাজশাহীর দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে যথেষ্ট হয়নি সেই স্কোর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৪৬/৬ (এনামুল ২৬, ইমরুল ০, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৭, জহুরুল ১, আরিফুল ৪১*, শামীম ৩৫, শহিদুল ১৭*; ইবাদত ৪-০-২৭-১, মেহেদি ৪-০-২৩-১, মুকিদুল ৪-০-৪৪-২, সানি ৩-০-১৭-১, ফরহাদ ৪-০-২৯-০, ইমন ১-০-৫-০)।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ১৭.২ ওভারে ১৪৭/৪ (শান্ত ৫৫, ইমন ২, রনি ২৬, আশরাফুল ২৫*, ফজলে রাব্বি ২৪, সোহান ১১*; সাকিব ৪-০-২৭-০, শফিউল ৩-০-২৪-০, আল আমিন ২-০-১৩-১, শহিদুল ৩-০-২৭-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১১-০, রিশাদ ৩-০-৩৪-২, শামীম ১.২-০-৯-০)।
ফল: মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত
স্পোর্টস ডেস্ক : পক্ষে-বিপক্ষে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে সেরার প্রশ্নে সবসময়ই লিওনেল মেসির কথা বলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার আলভেস। প্রিয় সাবেক সতীর্থের সঙ্গে এবার তিনি তুলনা টানলেন জাতীয় দল সতীর্থ নেইমারের। আলভেসের মতে, এই দুজনের একজনকে দলে পাওয়া মানেই যেন এক সঙ্গে তিন জনকে পাওয়া। ভেঙে বললে, ১১ নয়, ১৩ জন নিয়ে মাঠে নামা!
বার্সেলোনায় চার বছরের সাফল্যমন্ডিত ক্যারিয়ারের ইতি টেনে ২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। প্যারিসের কাবটিতে বেশ কয়েকটি শিরোপা জিতলেও সেখানে কখনোই তাকে স্বরূপে দেখা যায়নি। বারবার চোটে পড়েছেন, হয়েছেন নেতিবাচক খবরের শিরোনাম।
তাই প্রথম মৌসুমের শেষ দিক থেকেই শুরু হয়েছে তার পুরনো ঠিকানায় ফেরার গুঞ্জন। গত মৌসুমের শেষভাগে তো তিনি সরাসরিই বলে দেন, ফিরতে চান কাতালুনিয়ায়। তাকে পেতে আগ্রহী ছিল কাম্প নউয়ের দলটিও। তবে দুই কাবের দরকষাকষিতে শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি।
সম্প্রতি কাতালুনিয়া রেডিওকে দেওয়া সাাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন আলভেস। সেই বিশদ আলাপচারিতায় বড় এক অংশ জুড়ে ছিল নেইমার-বার্সেলোনা প্রসঙ্গ। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার পারফরম্যান্স মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়; কোপা দেল রে থেকে বাদ পড়েছে আগেই, হারিয়েছে লিগ শিরোপাও। ব্রাজিলের গত বছরের কোপা আমেরিকা জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া আলভেসের বিশ্বাস, নেইমার ফিরলে আগের রূপে ফিরবে বার্সেলোনা।
“আমি তার জায়গায় থাকলে, কোনো কিছু না ভেবেই ফিরে আসতাম।”
“সবাই জানে, নেইমার বার্সেলোনাকে সাহায্য করতে পারে, সঙ্গে মেসিকেও। তাদের দুজনকে পেলে কাবটি আবারও লা লিগা ও ইউরোপে জায়ান্ট হয়ে উঠবেৃফুটবল হবে ভারসাম্যপূর্ণ।” “দলে ১১ জন খেলে, আর মেসিকে নিয়ে হয়ে ওঠে ১৩। একইভাবে, নেইমার থাকলেও কোনো দলের খেলোয়াড় হয়ে যায় ১৩।”
স্পোর্টস ডেস্ক :
লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জনের মধ্যে স্প্যানিশ কাবটিকে সতর্ক করে দিলেন দানি আলভেস। ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার পরামর্শ দিলেন, দলের সেরা তারকার থেকে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে। একই সঙ্গে দাবি তুললেন, কাবের স্টেডিয়ামের নাম কাম্প নউ থেকে বদলে লিও মেসি রাখার।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ডালপালা মেলেছে মেসির কাব ছাড়ার গুঞ্জন। তবে কি বার্সেলোনা ছেড়ে যাবেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার? ২০০৮-০৯ থেকে আট মৌসুম বার্সেলোনার জার্সিতে খেলা আলভেস মনে করেন না, এই গুঞ্জন বাস্তব হবে।
“আমার মনে হয় না (মেসি কাব ছাড়বে)। সে এই কাবের, এই দলের মূল তারকা। যদি সে চলে যায়, তাহলে সেটা হবে কাবটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তি। তার মতো খেলোয়াড়কে এখানে থেকেই অবসরে যাওয়ার আবহ তৈরি না করে দেওয়া এবং স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে কাম্প নউ থেকে লিও মেসি না করা হবে বড় ভুল।”
সাম্প্রতিক সময়ে দলের ছন্দহীন পারফরম্যান্সে হতাশ মেসি। এক ম্যাচ বাকি থাকতে লা লিগা শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার। গত বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে ওসাসুনার বিপে ২-১ ব্যবধানে হারে কিকে সেতিয়েনের দল। একই সময়ে ভিয়ারিয়ালের বিপে জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দলের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন মেসি। এভাবে খেললে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও হারতে হবে বলে সতর্ক করে দেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।
নিজের খেলায়ও খুশি নন মেসি। সাবেক সতীর্থের হতাশার কারণটা বুঝতে পারছেন আলভেস। তার মতে, বার্সেলোনায় সতীর্থদের কাছ থেকে ঠিকমতো সহযোগিতা পাচ্ছেন না মেসি। কাতালুনিয়া রেডিওকে দেওয়া সাাৎকারে বার্সেলোনার সাবেক এই রাইট-ব্যাক মনে করিয়ে দিলেন, মেসিও মানুষ। তার পে সবসময় দলকে একা টানা সম্ভব নয়।
“সে একজন জাত বিজয়ী। সে কখনোই হারতে পছন্দ করে না। তার রাগ করাটা তাই স্বাভাবিক। সে সবসময় জিততে চায়, ঠিক আমার মতো। সে অনেক বছর ধরে খেলছে। তাই সে বোঝে কখন দল সামর্থ্যরে পুরোটা দিচ্ছে, কখন নয়ৃঅনেক বছর ধরে সে বার্সেলোনায় আছে। সে জানে জেতার জন্য কী করতে হয়।” “আমার মনে হয়, সে ঠিকমতো সহযোগিতা পাচ্ছে না। মেসি আগেও দলের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, কিন্তু তখন আমরা তাকে যথাযোগ্য সহযোগিতা করেছি। সে সবসময় শীর্ষে থাকতে চায়। আর সেই ল্য পূরণে পাশে যথার্থ সতীর্থের প্রয়োজন। দলের জন্য সে সবসময় সবকিছু করেছে। সেও তো মানুষ।”
স্পোর্টস ডেস্ক :
১১ বছর আগে আম্পায়ারিং থেকে অবসর নিয়েছেন স্টিভ বাকনর। কিন্তু অবসরের এক বছর আগে একটি টেস্ট ম্যাচের দুটি ভুল সিদ্ধান্ত এখনও যেন পিছু ছাড়ে না তার। সেই ভুলের জন্য অবশ্য কোনো অজুহাত দিচ্ছেন না এক সময়কার বিশ্ব ক্রিকেটের দারুণ শ্রদ্ধেয় এই আম্পায়ার।
১২৮টি টেস্ট ও ১৮১ ওয়ানডে পরিচালনা শেষে ২০০৯ সালের মার্চে অবসর নেন বাকনর। তার সেই আলোচিত ভুল ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের সিডনি টেস্টে। ভারতীয় এক পত্রিকাকে দেওয়া সাাৎকারে সাবেক এই আম্পায়ার ফিরে তাকালেন এক যুগ আগের সেই ম্যাচে। “২০০৮ সালের সিডনি টেস্টে আমি দুটি ভুল করেছিলাম। প্রথম ভুল, ভারত যখন ভালো খেলছিল, আমার সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়ার একজন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছিল। দ্বিতীয় ভুলে পঞ্চম দিনে হয়তো ভারতকে খেসারত দিতে হয়েছিল ম্যাচ হেরে।”
“তার পরও, ৫ দিনে কেবল দুটিই তো ভুল। এক টেস্টে দুটি ভুল করা প্রথম আম্পায়ার কি আমিই? অথচ ওই দুটি ভুল যেন এখনও আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।” বাকনেরর প্রথম ভুলে ৩০ রানে বেঁচে গিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। পরে এই ব্যাটসম্যান খেলেছিলেন ১৬২ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ভুলে সাইমন্ডসের বলেই শেষ দিনে কট বিহাইন্ড হয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। যদিও বল ছিল ব্যাট থেকে বেশ দূরে।
দ্রাবিড় তখন থিতু হয়ে গিয়েছিলেন উইকেটে। বাকনরের ভুলে আউট হয়ে যান ১০৩ বলে ৩৮ রান করে। পরে ম্যাচ বাঁচানোর খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল ভারত। মাইকেল কার্ক ৫ বলের মধ্যে ভারতের শেষ ৩ উইকেট তুলে নিলে ম্যাচের ৬ মিনিট বাকি থাকতে নাটকীয় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ওই টেস্টের পর প্রবল সমালোচনা হয়েছিল বাকনরের। টানা পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করা আম্পায়ারের আত্মবিশ্বাসও হয়তো নড়ে গিয়েছিল। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে আরও কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন তিনি। পরে ২০০৯ সালে মার্চে বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংকে।
বাকনর বললেন, মাঠের অনেক বাস্তবতার কারণে আম্পায়ারদের কাজ অনেক সময় হয়ে ওঠে কঠিন। “সবার জানা উচিত, ভুল কেন হতে পারে। একই ভুল বারবার না হলেই তো হয়। আমি অজুহাত দিচ্ছি না, কিন্তু অনেক সময়ই মাঠে বাতাস থাকে তীব্র এবং বাতাসে শব্দ হারিয়ে যায়। ধারাভাষ্যকাররা ব্যাটে বল লাগার শব্দ শুনতে পান স্টাম্প মাইকে, কিন্তু আম্পায়াররা নিশ্চিত হতে পারেন না। দর্শকদের এসব বোঝা উচিত।” ৭৪ বছর বয়সী এই জ্যামাইকান এখন পরিবার নিয়ে থিতু হয়েছেন নিউ ইয়র্কে। স্থানীয় বিভিন্ন ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করেন। সেখানকার মজার ঘটনাও শোনালেন।
“গতবছর নিউ ইয়র্কে একটি স্থানীয় ম্যাচে আম্পায়ারিং করছিলাম। একজন এসে বলল, ‘আমার ফোনে একটি ভিডিও আছে, আপনার ১০টি ভুল। দেখতে চান?’ আমি বললাম, ‘না, দেখার প্রয়োজন আমার নেই। নিজের ভুলগুলো আমি জানি। আমি নিশ্চিত যে ১০টির বেশি ভুল করেছি। তুমি যদি মনে করো, ১০টিই ভুল করেছি, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রতি দুই বছরে আমার ভুল গ্রেফ একটি করে। রেকর্ড তো তাহলে খুব ভালো, তাই না?”
স্পোর্টস ডেস্ক :
বুন্ডেসলিগার দল শালকে থেকে তরুণ ডিফেন্ডার হুয়ান মিরান্দাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দলটির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বার্সেলোনা।
গত মৌসুমে ২০ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ডকে জার্মান ক্লাবটিতে ধারে খেলতে পাঠিয়েছিল বার্সেলোনা। এক বিবৃতিতে বুধবার কাতালান দলটি জানায়, মিরান্দার ধারের মেয়াদ বাড়ানো হবে না। কয়েক দিনের মধ্যে তিনি কাম্প নউয়ে ফিরবেন। শালকের হয়ে ১১ ম্যাচে ৭৮১ মিনিট মাঠে ছিলেন মিরান্দা।
২০১৪ সালে রিয়াল বেতিস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন মিরান্দা। শুরুতে যুব দলের হয়ে খেলে জায়গা করে নেন বার্সেলোনা ‘বি’ দলে। এরপর ২০১৮-১৯ মৌসুমে কোপা দেল রে দিয়ে হয় তার মূল দলে অভিষেক।
স্পোর্টস ডেস্ক :
পায়ের চোট কাটিয়ে সেরে উঠেছেন এসি মিলানের জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। স্পালের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচে এই ফরোয়ার্ডকে দলে রেখেছেন কোচ স্তেফানো পিওলি।
গত মে মাসের শেষ দিকে অনুশীলনের সময় ডান পায়ে চোট পান ইব্রাহিমোভিচ। করোনাভাইরাসের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর ফের শুরু হওয়া সেরি আ লিগে প্রথম মাঠে নামার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার।
গত সপ্তাহে অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। মিলানের দলটির প্রধান কোচ পিওলি জানিয়েছেন, খেলার জন্য ফিট আছেন সুইডিশ এই ফুটবলার। গত জানুয়ারিতে ছয় মাসের চুক্তিতে পুরনো ঠিকানা মিলানে ফেরেন ইব্রাহিমোভিচ। দলটির হয়ে চলতি মৌসুমে ৭টি ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন ৩টি।