১৬ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ , ২রা মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
করোনার দুর্যোগে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব পড়েনি- মতিয়া চৌধুরী
শেরপুর প্রতিনিধি :
জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও নকলা-নালিতাবাড়ীর এমপি মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, করোনার দুর্যোগে পৃথিবীর উন্নত দেশ সমূহ কাইত (অর্থনৈতিক বিপর্যয়) হয়ে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী নকলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোলার ও মসজিদ মন্দিরে আর্থিক অনুদান বিতরণ উপলক্ষে আলোচনায় সভায় মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।
ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশেই দৃশ্যমান ভাস্কর্য রয়েছে। ইরানের সিরাজ শহরে আল্লামা শেখ সাদির ভাস্কর্য বিদ্যমান রয়েছে যা আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি। কাজেই ভাস্কর্য আর মুর্তিস্থাপনের বিষয়টি যে পার্থক্য রয়েছে তা না বুঝে একটি মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
এসময় পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, ইউএনও জাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, ওসি মুশফিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম সোহাগ, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত দুইদিনে মতিয়া চৌধুরী নকলা উপজেলার ২৪টি মাদরাসা ও ১১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সোলার বাতি, মসজিদ মন্দিরে অনুদান ও ঢেউটিন বিতরণ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপিতে এখন চতুর্মুখী সংকট চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলটি বার বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও আন্দোলন করতে পারেনি। একদিকে তারা অপরাজনীতির জন্য জনগণের কাছে নিন্দিত, অপরদিকে দলের ভেতরেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ সংকট চলছে। অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে তারা। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে দলটি এখন নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমেছে। গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন তারা (বিএনপি) অপপ্রচার শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। নানা অনিয়ম অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিএনপি মূলত নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চায়। তাদের এই অপচেষ্টাও হালে পানি পাবে না। কেননা জনগণ তাদেরকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। উপনির্বাচনে প্রচারণা না চালিয়ে, পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, ভোট কেন্দ্রে না এসে ভোটের দিন হঠাৎ করে দুপুর বেলায় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা তাদের অপকৌশলের অংশ। নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার এই অপকৌশল এরইমধ্যে মরচে ধরে গেছে, ভোঁতা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা কথা বলে অথচ কমিশনে তাদের প্রস্তাবিত একজন সদস্য রয়েছে। কমিশনের সব সদস্য বিএনপি-সমর্থকদের বসেই বা লাভ কি? প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে সব কমিশনার যদি বিএনপির হয়, কমিশন তো ভোট দেবে না, ভোট দেবে জনগণ। তারাতো ভোটারদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, তাই জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে শুরু করে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে। সংকটের কারণে বিএনপির দেশ ও জনগণের কথা ভাববার সময় নেই বলেও এ সময় মতামত ব্যক্ত করেন কাদের।
বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ এখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া। আপনারা দেখতে না পেলেও জনগণ দেখতে পাচ্ছে। আপনারাতো দিনের আলোতেও রাতের অন্ধকার দেখতে পান। দেশে কোন দুঃশাসন নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশাসনের দিকে আমাদের যে অভিযাত্রা তাতে সমালোচনা না করে সহযোগী হোন। গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথকে মসৃন করতে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুন। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ঘরে বসে ফেসবুক গণমাধ্যম বিবৃতি ছাড়া জনগণের ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কথা শুধু ভুলেই যায়নি, সক্ষমতাও হারিয়েছে। তিনি বলেন, বিজয়ের চেতনা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জাঁতি আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বিজয়ের এ মাসে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আসুন আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করি, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এমন একটি সরকারের অধীনে দেশের জনগণ বসবাস করছে, যেখানে তারা দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়েছে। এ দেশের মানুষের মানসম্মান বলে আর কিছু নেই। গতকাল সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, গত সাড়ে ১২ বছরে সীমান্তে পাঁচ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সরকার তার নতজানু নীতির কারণে একটা কড়া প্রতিবাদও করতে পারে না। এখানে যদি সত্যিকারের জনগণের সরকার থাকতো, তাহলে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারত। যেহেতু এই সরকারের গণভিত্তি নেই তাই তারা অন্য দেশের কাছে নতজানু হয়ে থাকে। নিজের দেশের জনগণের ওপর তারা জুলুম চালায়। তিনি আরও বলেন, যারা সরকারের সমালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়, কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। না হয় গুম করে অথবা বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হতে হয়। অথচ অন্য দেশ এত অন্যায় করছে সেখানে কোনো ধরনের প্রতিবাদ নেই। কোনো ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতাও নেই।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল হক, বিএনপি নেতা আহসান ঊদ্দিন খান শিপন, শেখ আবদুল হালিম খোকন, মাহবুব মাসুম শান্ত, এবিএম আবদুর রাজ্জাক, আবদুল আউয়াল, কাজী মনির প্রমুখ।
জাহিদুল হক মনির, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চা বাগানে পাতা চয়ন, প্রুনিং ও পোকামাকড়-রোগবালাই দমন বিষয়ে ক্ষুদ্র চা চাষীদের জ্ঞান ও পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ ডিসেম্ভর) শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া ও শ্রীবরদী উপজেলার ঝোঁলগাঁও এলাকার চা বাগানে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘গারো হিলস টি কোম্পানী’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমজাদ হোসেন ফনিক্স। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুবর্না সরকার। এসময় চাষিদের চা চাষ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দেন শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহম্মদ এবং ঊর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন।
চা চাষের প্রশিক্ষণ, চারা লাগানো থেকে শুরু করে সবুজ পাতা উত্তোলন ও পক্রিয়াজাতকরণে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন চা বোর্ডের কর্মকর্তারা। শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ’ নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার ১৫০ হেক্টর জমিতে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ সম্প্রসারণ করা হবে।
আরও জানান, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে চা আবাদের সম্ভাব্যতা বিষয়ে ২০০৪ এবং ২০১৯ সালের পৃথক সমীক্ষায় দেখা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৫টি জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে চা আবাদ সম্ভব। উক্ত জমি চা আবাদের আওতায় আনা হলে বছরে এ অঞ্চল থেকে ১৬.৩৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হবে।
মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ৪২তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিজ্ঞান মেলা-২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ মেলা শুরু হয় এবং দিনের শেষ বিকেলে জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২০ এর সমাপণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় বৃহস্পতিবার বিকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. ফরিদা ইয়াছমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ, সারকারি হাজী জালমামুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আলতাব আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা, নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুকসহ উপজেলায় কর্মরত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
এ মেলায় উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের অন্তত ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিষয়ক স্টল বসায়। অংশ গ্রহণকারী মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাদের তৈরীকৃত প্রজেক্ট গুলো হলো- নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে রাডার টেকনোলজি, কনভেয়র বেল্ট, ইজি এন্ড সেইফ সেনিটাইজার; চন্দ্রকোনা রাজলহ্মী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জ্বালানি সাশ্রয় যন্ত্র, ইকেক্ট্রিক তালা ও সৌর শক্তির সাহায্যে সেচ ও ল্যাম্পপোস্ট; গণপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা ও আলু দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির প্রজেক্ট; নকলা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নিরাপদ সড়ক, অক্সিজেন গ্যাস ও জ্বালানি কাজে হাইড্রোজেন তৈরী প্রক্রিয়া; ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সেনিটাইজার মেশিন, রিফিল এবং ট্যাংক; নারায়ণখোলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রিক হ্যান্ড সেনিটাইজার, করোনাকালীন সময়ে নির্দিষ্ট দুরত্ব রেখে চলার প্রজেক্ট ও করোনা মডেল প্রজেক্ট; মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন থেকে চিত্রের সাহায্যে করোনা মোকাবেলা প্রজেক্ট। আর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাদের তৈরীকৃত প্রজেক্ট গুলো হলো- সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজ থেকে স্বল্প খরচে হ্যান্ড ওয়াশ প্রস্তুত, চৌধুরী ছবরুননেছা মহিলা কলেজ থেকে করোনা মোকাবেলা প্রজেক্ট ও নকলা শাহরিয়া ফাযিল মাদরাসা থেকে করোনা মডেল, স্বল্প খরচে রোম হিটার, মডেল মাদরাসার প্রজেক্ট তৈরী করে তা দর্শনার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করা হয়।
বিজয়ী নির্বাচন উপকমিটির যাচাই বাছাই পূর্বক তাদের ঘোষনা মোতাবেক মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে নকলা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার চন্দ্রকোনা রাজলহ্মী উচ্চ বিদ্যালয়। আর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজ, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে চৌধুরী ছবরুননেছা মহিলা কলেজ ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে নকলা শাহরিয়া ফাযিল মাদরাসা। পরে অতিথিবৃন্দরা বিজয়ীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলেদেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন পালন করেছিলেন অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন। প্রতিবছর ২৭ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন দিবস পালন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ডা. মিলন ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা। বুকের রক্ত ঢেলে তিনি এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করে গেছেন। যে পথ ধরে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিগত ১১ বছর ধরে আবারও মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করেছে। দেশের মানুষ তাদের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমেই আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। সেজন্যই প্রথমে আমাদের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার পাশাপাশি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন নীতি অনুসরণ করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। সাংগঠনিকভাবে কোনো অনিয়ম, দূর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। যেকোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া মাত্রই নেয়া হচ্ছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। তিনি বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা স্বপ্রণোদিত হয়ে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন, তা এখনও চলমান আছে। ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধ করার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নেই। দল কখনও কোনো অপরাধীকে রক্ষা করার ঢাল হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই।।গুটি কয়েক মানুষের অপরাধের জন্য সরকারের অনন্য অর্জনগুলো ম্লান হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় ব্যক্তির, দলের নয়। সম্প্রতি দুটি জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কেন্দ্র হতে তৃণমূলের জন্য দলীয় প্রধানের একটি বার্তা। দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাকে এখন গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। সততা, নিষ্ঠা এবং দলের প্রতি ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ জেলা থেকে কেন্দ্রে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
কাদের বলেন, পুরো দেশে সাংগঠনিক নেতৃত্বের ওপর দলীয় সভাপতির দৃষ্টি রয়েছে। শেখ হাসিনার কাছে সকলের পারফরম্যান্সের রিপোর্টও রয়েছে। যারা বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, দলীয় দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কার্যক্রমও গুরুত্ব সহকারে মনিটর করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ কারো ভাগ্যবদল ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়। দলের প্রতি ত্যাগ, সততা ও নিষ্ঠা থাকলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তৃণমূল থেকে সময় মতো যে কাউকে যেকোনো দায়িত্ব দল এবং সরকারে দিতে পারেন।
মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ বিধি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা।
২৫ নভেম্বর বুধবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন নকলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন এর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন।
জানা গেছে, নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৩ তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২ তম গ্রেড ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১ তম গ্রেড প্রদান করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপি প্রদান করার সময় স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মাসুদুল আলম, এএইচআই রফিকুল ইসলাম, হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বাস্থ্য সহকারী আনোয়ার হোসেন, হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন নকলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম বেলাল, এইচএ লুৎফুল আনোয়ার বাদল, মনতাজুর রহমান লতা, সোহেল রানা, মমতাজ বেগম, শাহীনুর আলম, জান্নাতুন নাহার মুনমুন, জাহিদা আক্তার, রেজাউল করিম, নাহিদুর রহমান, ফরহাদ মিয়া, মমতাজ বেগম, নাসরিন জাহান, হাফছা আইরিন মিলিসহ আন্দোলনরত হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাকর্মী ও সদস্যবৃন্দ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারক লিপি জমা দেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষনা দেন। অত:পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী তৎকালীন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের ন্যায্যদাবী সমূহ মেনেনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারীতে আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জন করলে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় আমাদের দাবী সমূহ পুনরায় মেনেনিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু দু:খ জনক হলেও সত্যি যে, ওই লিখিত সমঝোতা পত্রের সিদ্ধান্ত অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধী বাস্তবায়ন করা হয়নি।
তাই আমরা আমাদের ন্যায্যদাবী আদায়ের লক্ষে সকল প্রকার ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জনসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ, এনএসআই, মহাপরিচালক ও দাতা সংস্থার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মেলন, ২৬ নভেম্বর থেকে ইপিআইসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা করা হয়। তাঁরা আরও বলেন, আমাদের চাকুরীর প্রারম্ভিক কাল হতে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত হয়ে চরম বৈষম্যের শিকার; অথচ টিকাদান কর্মসুচিতে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। শুধু টিকাদান নয় এর ধারবাহিকতা বজায় রেখে আমরা নিরলস কাজ করে আসছি। বক্তারা বলেন, আমাদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে অতিদ্রুত বেতন বৈষম্যদূর করতে হবে। এ দাবীতে ২৬ নভেম্বর থেকে সকল প্রকার কার্যক্রম বর্জন করা হবে বলে তারা জানান। এর পরেও দাবী বাস্তবায়ন করা না হলে সারাদেশ ব্যাপী কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে, যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে কারও কাম্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা আমার কাছে এর আাগেও স্মারক দিয়েছিলেন। এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবী বাস্তবায়ন না করায় তারা পুনরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। তাছাড়া ২৬ নভেম্বর থেকে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
জাহিদুল হক মনির, শেরপুর প্রতিনিধি :
গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য উঠান ঢেঁকি আজ হারাতে বসেছে। কয়েক বছর আগেও গ্রামবাংলার প্রতিটি পরিবারের মা ও বোনদের উঠানে বা বাড়ির আঙ্গিনায় আর জাতা বা ঢেঁকি দ্বারা ধানে পাড় দিয়ে ধান ভানতো। কিন্তু সেই প্রাচীন ধারা ধান ভানার প্রচলন আর নেই বললেই চলে। ওই উঠান ঢেঁকিতে শুধু ধান মাড়াই নয়, হলুদ-মরিচ সহ বিভিন্ন মশলা বাটাও করা হতো।
এ উঠান ঢেঁকিটিতে একজনই দাড়িয়ে ধান মাড়াই করতে পারতো। আবার এই ঢেঁকিটি ছোট আকারে তৈরী করে সেটি দিয়ে পান বা বিভিন্ন মসলা বাটার কাজও করা হতো। সেটি হাম্বল দিস্তা হিসেবেই পরিচিত। তবে হাম্বল দিস্তাটি একটু বড় এবং এর লাঠিটি একটু লম্বা হতো। যাতে মেয়েরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ব্যবহার করতে পারে। এরপর একটু আধূনিক ছোঁয়ায় আসে পাত ঢেঁকি বা পা দিয়ে ব্যবহার করা ঢেঁকি। বতমানে উঠান ও পাত ঢেঁকি উভয় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যদিও গ্রামে-গঞ্জে কোন কোন স্থানে পাত ঢেঁকি বা পা দিয়ে মাড়াই করা ঢেঁকি দেখা পাওয়া যায়। তবে তা খুবই বিরল। আধূনিক মাড়াই যন্ত্রের ভিরে ওইসব প্রাচীণ কালের মাড়াই যন্ত্র বিলুপ্তির তালিকায় রয়েছে। তবে উঠান ঢেঁকি সম্প্রতি শেরপুর জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় একটি হিন্দু বাড়ির বিয়ের গায়ে হলুদ এর অনুষ্ঠানের জন্য হালুদ বাটায় ব্যবহার করা হয়েছে। এসময় বিয়ে বাড়ির গাঁয়ে হলুদ দিতে আসা নারীরা বেশ মজা করে হলুদ বেটে বরের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান পালন করেন।
এ বিষয়ে ওই বরের বড় ভাই পরিবহন ব্যবসায়ী শুভ্র রায় জানায়, আধূনিক যুগে ঢেঁকির প্রচলন না থাকলেও আমার বাড়ির মেয়েরা অনেক খুঁজে পাত ঢেঁকি না পেয়ে ওই উঠান ঢেঁকি বা হাম্বল দিস্তাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে বিয়ে বাড়িতে বাড়তি আনন্দের যোগ হয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় আমরা আজ আধূনিকতার ছোঁয়ায় বাপদাদাদের প্রথা বা রীতিনীতি হারিয়েই ফেলছি তাই কিছুটা হলেও সেই পুরোনো কৃষ্টি পালনে এ উদ্দোগ নেয়া হয়েছে।