নোয়াখালী বিচ্চিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরন প্রকল্পের অধীনে স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগের নামে প্রতারণার অভিযোগে নিজাম উদ্দিন (৪৫) নামের এক প্রত্রাককে আটক করেছে হাতিয়া থানা পুলিশ। বৃহ:বার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হাতিয়া নিউমার্কেট সংলগ্ন হাজি মাইন উদ্দিন ম্যানশনে। এ ব্যাপারে হাতিয়া থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক নিজাম উদ্দিন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মাকছুদুর রহমানের ছেলে।
জানাযায়, দীর্ঘদিন থেকে এই প্রতারক গ্রুপটি হাতিয়া উপজেলা সদরে একটি অফিস নিয়ে তাদের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইতিমধ্যে তারা বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিএমসিসিএল এর অর্থায়নে এমএমসি বাস্তবায়নাধীন সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরন প্রকল্পের অধীনে ৫টি পদে প্রায় ৬শ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরবর্তীতে আবেদনকারীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার শেষে কথিত যোগ্য প্রার্থীদেরকে নিয়োগপত্র প্রদান করেন। নিয়োগপত্র গ্রহণ করার সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে জামানত হিসাবে ২হাজার ৫শ টাকা আদায় করে।
জানাযায়, প্রতারক নিজাম উদ্দিনকে ইতিপুর্বে সান প্লাওয়ার বিমা সংস্থা থেকে ৮লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছিল পুপুলার ইন্সুরেন্স থেকে-ও।
এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ হলে তিনি বৃহ:বার বিকেলে ওই কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কোনো বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় প্রতারক নিজাম উদ্দিনকে আটক করে হাতিয়া থানায় সৌপার্দ করা হয়। অভিযানের সময় হাতিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম জানান, আটক প্রতারক স্থানীয় লোকজনকে প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইতোপূর্বে তাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতারক তাদের অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় তাকে আটক করা হয়।