বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে ৯৫ বছরের বৃদ্ধাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার পুত্রবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে আটককৃত পুত্রবধূ শিখা রানীকে একমাত্র আসামি করে নির্যাতিতার নাতী চন্দন সরকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত শিখা রানীকে আটক করি। এ সময় আহত বৃদ্ধাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ফল এবং খাদ্যসামগ্রী সহায়তা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার নাতী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পুত্রবধূ শিখাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃদ্ধা গেনোদা বেপারীর শরীরে করোনা থাকার আশংকায় গত ২ মাস ধরে তাকে বসত ঘরে না রেখে ঘরের বাইরে একটি মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। গত সোমবার দুপুরে খাবার চেয়ে না পেয়ে তার নামে উত্তোলনকৃত বয়স্ক ভাতার টাকা চান ছেলের কাছে।
এতে তার ছেলে শ্রবন প্রতিবন্ধি অসুস্থ জগদীশ বেপারী ও তার স্ত্রী শিখা রানী ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তারা তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। নির্যাতনের সময় বৃদ্ধার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে জগদীশের স্ত্রী শিখা রানী তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে তাদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়।