করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে লকডাউনে থাকা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি এলাকা থেকে দায়িত্বরত দুই স্বেচ্ছাসেবককে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ হাতেনাতে ধরেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা লকডাউন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ‘‘রেডজোন’’ চিহ্নিত সদর ইউনিয়নে টেকনোয়াদ্দা এলাকা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. জয়নাল (২৭) ও মো. নাদিম (২৯)। তারা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং লকডাউনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই লকডাউন ঘোষিত এলাকাগুলোতে বৃহস্পতিবার টহল দিচ্ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর ইউনিয়নের টেকেনায়াদ্দা মসজিদের সামনের সড়কে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দেখে সেটিকে থামার নির্দেশ দেন তিনি। তখন রিকশাটির ৪ যাত্রীর দু’জন পালিয়ে যায়। তল্লাশি করে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ জয়নাল ও নাদিমকে হাতেনাতে ধরা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা জানান, এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, রাতে লকডাউন ঘোষিত এলাকা থেকে মাদকসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা লকডাউন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতার করা হবে।