নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ট্রলারে করে ৩ ঘণ্টায় সরাসরি নিঝুম দ্বীপের ঘাটে কিংবা মোটরসাইকেলে ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হতিয়ার দক্ষিণ মাথা মোক্তার ঘাটে পৌঁছে আবারো নদী পথ। এভাবেই দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে চলতে হয় নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দাদের। দীর্ঘ দিন ধরে এ দ্বীপে মানুষের বসবাস শুরু হলেও এখনো উন্নতি হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থার। পৌঁছেনি স্বাস্থ্যসেবাসহ কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সুবিধাও।
হাতিয়া উপজেলার মোক্তার ঘাট থেকে ট্রলারে নিঝুম দ্বীপ যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। সময় মতো ঘাটে না আসলে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। যদিও এসব ছোট ট্রলারে করেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন এ দ্বীপের বাসিন্দারা।
ট্রলার থেকে নিঝুম দ্বীপের ঘাটে নেমে পিচ্ছিল সাঁকো পাড়ি দিয়ে বাজারে আসার পথ ৮ কিলোমিটার। যানবাহন হিসেবে আছে মোটরসাইকেল ও কিছু রিকসা। প্রায় চল্লিশ বছর আগে ১৯৭৮ সালে এ দ্বীপের বসতি শুরু হয়। এতো বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো নাগরিক সুবিধান বঞ্চিত এ দ্বীপের মানুষ।
২২ হাজার লোকের বসতি হলেও নেই কোন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বা চিকিৎসক। রয়েছে একটি মাত্র ওষুধের দোকান। এমন অভিযোগ পর্যটকদেরও। হাতিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন এ দ্বীপ। চেয়ারম্যান-মেম্বার থাকলেও সমন্বয়ের অভাব আর সরকারের সুনজর না দেয়ায়, এলাকার উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান নিঝুম দ্বীপ ইউপি সদস্য মো. কেফায়েত।
অভ্যন্তরীণ যাতায়াত সুবিধা দিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি নতুন পরিকল্পনার কথা জানান, দ্বীপে দায়িত্বরত বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যদি আরেকটু এগিয়ে আসতো তাহলে কাজগুলো আরো দ্রুত হয়ে যেতো। আমাদেরও ইচ্ছা আছে, আমাদের বিভাগের পক্ষ থেকে এই রাস্তাগুলো ঠিক করে দেয়ার।’
জীবন ব্যবস্থায় আর্থিকভাবে বেশিরভাগ পরিবার অসচ্ছল হওয়ায় সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সব ধরনের সহায়তা এবং দ্বীপ রক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি এ দ্বীপের অবহেলিত মানুষের।