1. admin@dailyajkerkhabar.com : daily :
আরও টাকা চান পোশাকমালিকেরা - দৈনিক আজকের খবর
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইসলামিক জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশনা সম্পাদক মুহসিন আল জাবির ইসলামিক জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের  সভাপতি মাওলানা তোফায়েল গাজালি ইসলামিক জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল আমির হাতিয়ায় রাতের আঁধারে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা লকডাউনের মধ্যে ইউএনওর নৈশ ভোজের আয়োজন হাতিয়ায় ৫ দোকানীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত স্কুলের সামনে খালের উপর দোকান নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্ব হাতিয়ায় এবার ইউএনওর প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষকরা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা মাদ্রাসার ও এতিমখানা’র জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আরও টাকা চান পোশাকমালিকেরা

সংবাদ দাতা :
  • আপডেট : বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০
  • ৪৩১ Time View
আরও টাকা চান পোশাকমালিকেরা

নতুন করে আরও তিন মাসের মজুরি ও ভাতা দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দিতে সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে এ অর্থ চান তাঁরা। মালিকেরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ কারখানার মজুরি দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

তিন মাসের মজুরির জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ও বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান যৌথভাবে গত সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে একটি চিঠি দেন। তাঁরা দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি পোশাক রপ্তানির সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীর আগামী জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ‘আগের মতো’ সহজ শর্তে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। বর্তমানে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীর এপ্রিল, মে ও জুন মাসের মজুরি দিচ্ছেন অনেক পোশাকশিল্পের মালিক।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন–চার মাস পর কারখানায় যেসব পোশাক আমরা তৈরি করব, তার ক্রয়াদেশ বর্তমানে আসার কথা। কিন্তু আসছে না। আসার কোনো লক্ষণও দেখছি না। অন্যদিকে বর্তমানে যেসব পোশাক উৎপাদিত হচ্ছে, সেগুলোর টাকা পেতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই টিকে থাকার জন্য মালিকদের সহায়তা দরকার।’

করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চের শুরুর দিকে ৩১৮ কোটি ডলারের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ এপ্রিল নীতিমালা জারি করে। সেখানে বলা হয়, সচল কারখানা শ্রমিকের তিন মাসের (এপ্রিল, মে ও জুন) মজুরি দিতে তহবিল থেকে ঋণ পাবে। ঋণের জন্য কোনো সুদ নেই, তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল নিতে পারবে। ঋণের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংককে দুই বছরের মধ্যে শোধ
করবে ব্যাংকগুলো।

জানা যায়, তহবিল থেকে ঋণ পেতে বিজিএমইএর সদস্য ১ হাজার ৩৭০ ও বিকেএমইএর সদস্য ৫১৯টি কারখানা আবেদন করেছিল। তবে নানা কারণে বিকেএমইএর ৯৯ সদস্য কারখানার আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এরপরও পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের সিংহভাগ অর্থই ঋণ হিসেবে পেয়েছেন পোশাকশিল্পের মালিকেরা। ফলে দুই মাস ধরে পোশাকশ্রমিকদের একটি বড় অংশের মজুরি হচ্ছে প্রণোদনার টাকায়।

আরও ৩ মাস শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দিতে ঋণ চেয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

নতুন করে তিন মাসের মজুরি দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়ার পেছনে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সভাপতি যুক্তি দিয়েছেন, প্রতিনিয়ত বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বর্তমান ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিল করছে। এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। চলতি ক্রয়াদেশের অর্থ পেতেও ছয় থেকে আট মাস সময় লেগে যেতে পারে। তা ছাড়া বর্তমানে যে ক্রয়াদেশ পাওয়া যাচ্ছে, তা সম্পন্ন করতে কারখানাগুলো চালু রাখতে হবে। এ জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ করে কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে। কিন্তু ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত ও নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না পাওয়ার কারণে পোশাক খাত নিদারুণ আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

চিঠিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সভাপতি আরও বলেছেন, পোশাকশিল্পের মালিকেরা শিল্পের ভবিষ্যৎ ও শ্রমিকদের মজুরি প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এমন পরিস্থিতিতে পোশাকশিল্পকে সহায়তার জন্য তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধে আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা প্রয়োজন।

পোশাকশিল্পের মালিকদের নতুন করে অর্থ চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, মালিকেরা তাঁদের লোকসানের ভার সরকার ও শ্রমিকের কাঁধে চাপাতে চাইছেন। তিনি বলেন, নতুন করে যদি সরকার অর্থসহায়তা দেয়, তাহলে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না—এমন শর্ত জুড়ে দিতে হবে। কারণ সরকারের সহায়তা নেবেন, আবার ছাঁটাই করবেন, সেটি তো হতে পারে না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
© (কপিরাইট):  2010 | দৈনিক আজকের খবর কর্তৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
Theme Customized BY LatestNews